তারাবির নামাজ না পড়লে কি রোজা হবে?
তারাবির নামাজ না পড়লে কি রোজা হবে?
আমাদের মাঝে ভুল ও কিছু ভ্রান্ত ধারণার আবির্ভাব হওয়ায় ইসলাম ধর্ম পালন করা আমাদের অনেকের কাছে কঠিন মনে হয় এবং ধীরে ধীরে আমরা ধর্ম পালনের অভাস থেকে দুরে সরে যাচ্ছি।
তারাবির নামাজ না পড়লে কি রোজা হবে? এমনও হাজারো প্রশ্ন আমাদের কুরে কুরে খাচ্ছে যে ধর্মে কোনটা করা যাবে আর কোনটা করা যাবে না। প্রথমে আমাদের তারাবি নামাজ সম্পর্কে জানতে হবে তারপর রোজা তাহলে চলুন একটু সময় নিয়ে সঠিক তথ্যটা জেনে রাখি।
তারাবি নামাজ কী?
রমজান মাসের রাতে এশারের সালাত ৪ রাকাত ফরজ ও ২ রাকাত সুন্নাত আদায় এবং ৩ রাকাত বেতের সালাত বা নামাজের আগে ১০ সালামে যে ২০ রাকাত সালাত আদায় করা হয় তাকে মূলত তারাবি সালাত বা নামাজ বলা হয়।
আমাদের মাঝে অনেকে মনে করে রমজান মাসে তারাবি সালাত বা নামাজ আয় করলে অর্ধেক ও রোজা রাখলে অর্ধেক সওয়াব পাওয়া যায় আসলে বিষয়টা এমন নয়।
তারাবি সালাত বা নামাজ সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ যা পালনে বাধ্যকতা নেই তবে সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ প্রায় ওয়াজিবের কাছাকাছি যার ফলে কেউ যদি ইচ্ছাকৃত বা অনাইচ্ছাকৃত সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ ছেরে দেয় তাহলে গুনাহ হবে কিন্তু তা ওয়াজিব অর্থাৎ ফরজের তুলনায় অনেক কম তবে গুনাহ হবে।
কোনো কোনো মতামতে বলা হয়েছে যে গুনাহ হবে না সুতরাং এ বিষয়ে যথাযথ সঠিক তথ্য পেতে হলে আপনাকে ইমাম-আলেমদের কাছে যেতে হবে।
রোজা রাখা কী বাধ্যতামূলক?
আল্লাহ তায়ালা রমজান মাসে দিনের বেলায় রোজা রাখা মুসলিম ও আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসীদের জন্য ফরজ করেছেন। আল্লাহ তায়াল বলেন, হে ইমান্দাররা তোমাদের উপর রোজা রাখা ফরজ করা হয়েছে যেমন রোজা ফরজ করা হয়েছিলো তোমাদের আগের লোকদের উপর, জেনো তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।
এ রমজান মাসে রোজা রাখার পাশাপাশি আরেকট আলম বা ইবাদত রয়েছে তা হলো তারাবির নামাজ আদায় করা আর রমজান তারাবির নামাজ আদায় করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ।
রোজা রাখা কী বাধ্যতামূলক? হে প্রাণের মুসলিম ভাই ও বোনেরা যেহেতু আল্লাহ তায়াল বলেছেন তোমাদের উপর রোজা রাখা ওয়াজিব বা ফরজ করা হয়েছে সুতরাং ৫ ওয়াক্ত সালাতের মতোই আমাদের গুরুত্ব সহকারে রোজা রাখতে হবে নয়তো গুনাহগার হয়ে যাবো।
তারাবির নামাজ না পড়লে কি রোজা হবে?
ভাই ও বোনেরা রোজা রাখা আমাদের উপর ফরজ তাই আমাদের রোজা রাখতে হবে নয়তো গুনাহ হবে অপর দিকে তারাবির নামাজ আদায় করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ যা ওয়াজিবের পর গুরুত্ব পায় সুতরাং যদি আপনি সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ ছেরে দেন তাহলে গুনাহের ভাগিদার হবেন।
তবে তারাবির নামাজ ও রোজার মাঝে’ রাখা না রাখার যুক্তি নেই, আপনি যদি রোজা না রাখেন তবুও তারাবির নামাজ আদায় করতে পারবেন এবং তারাবির নামাজের যে সওয়াব তা পেয়ে যাবেন অপর দিকে আপনি যদি রোজা রাখেন তবে তারাবির নামাজ না পড়েন তাহলে রোজা রাখার যে পরিমাণ সওয়াব তা পেয়ে যাবেন।
আপনি যদি ধর্ম প্রিয় ও আল্লাহ তায়াল প্রতি আপনার মহব্বত থেকে থাকে তাহলে আপনার উচিত তারাবির নামাজ ও রোজা দুটি পালন করা কারণ তারাবি নামাজ ও রোজা রাখার সওয়াবের পরিমাণ কাছাকাছি সুতরাং আল্লাহকে রাজি খুশি করতে চাইলে আপনাকে তারাবির নামাজ ও রোজা রাখতে হবে।
তারাবির নামাজ না পড়লে কি রোজা হবে? এ বিষয়ে যে আলোচনা করা হলো তা নিয়ে যদি আপনার কোনো মতামত থেকে থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন আমরা আপনার কমেন্টের যথাযথ সম্মান করার চেষ্টা করবো।